ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় স্কুল ছাত্রীর বিয়ে পন্ড করে দিল ইউএনও (পেকুয়ার সংবাদ)

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৮ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর বাল্য পন্ড করে দিলেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাঈকা শাহাদত। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে কাছারীমুরা এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ইউএনও’র নির্দেশে পেকুয়া থানার পুলিশ বিয়ে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ ওই ছাত্রীর বাল্য বিয়ে পন্ড করে দেয়। স্থানীয় সুত্র জানায়‘কাছারীমুরা গ্রামে সৌদি প্রবাসি মোকতার আহমদের মেয়ে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী রেশমি আকতার (১৫) এর বাল্য বিয়ে চলছিল। বর একই ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা এলাকার ছরওয়ার উদ্দিনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম। বর সৌদি প্রবাসী। প্রবাসীর মেয়ে রেশমী ও সৌদি প্রবাসি বর তৌহিদুল ইসলামের মধ্যে ওই বিয়ে ঠিকফর্দ হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর ধুমধাম রাজসিক আয়োজনে ওই ছাত্রীর বিয়ে অনুষ্টান চলছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার কনে ও বরের বাড়িতে পৃথক মেহেদী সন্ধ্যা হয়েছে। দু’বাড়িতে মেহমান পরিপুর্ন হয়। ওইদিন বরের বাড়িতে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে। বাজার থেকে বড় পশু এনে ওইদিন বরের বাড়িতে জবাই করে। মাঝেরঘোনা করবস্থানের নিকট বরের বাড়িতে কনে বরন করতে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা করে। কনের বাড়িতেও একই রুপসজ্জা করতে দেখা যায়। মেয়েটি শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী। বিয়ের বয়স হয়নি। পাত্র প্রবাসী ও বিত্তশালী হওয়ায় পিতা-মাতা তাকে জোরপুর্বক বিয়ের পিড়িঁতে বসায়। ওইদিন খবর পেয়ে পেকুয়ার নবাগত নারী ইউএনও ছাঈকা শাহাদত প্রশংসনীয় উদ্যেগ নেয়। তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে থেকে নিস্তার পেতে সাহায্য করেছে’। পেকুয়া থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি) কামরুল আজম জানায়‘ ইউএনও ম্যাডাম আমাকে ম্যাসেজটি দিয়েছিলেন। আমি দ্রুত সময়ে পুলিশ পৌছায়। বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাঈকা শাহাদত জানায়‘মেয়ে ও আর ছেলে হোক এরা সমাজের সম্পদ। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। বন্ধ করে দিয়েছি বাল্য বিয়ে। কিছুতেই সমাজে এ অসঙ্গতিগুলি হতে দেবনা’।

পেকুয়ায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে পেটালেন ভাসুর!

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাবেকুন্নাহার (৪৯) নামক মহিলাকে পিটিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোঁয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জখমী ছাবেকুন্নাহার ওই এলাকার শওকত হোসেন প্রকাশ ভেট্টার স্ত্রী। স্থানীয় সুত্র জানায়, বাড়ি থেকে একটি মুঠোফোন চুরি হয়। এ নিয়ে সাবেকুন্নাহার ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর সুত্র ধরে সাবেকুন্নাহারের ভাসুর মৃত আলী হোসেনের ছেলে আবু ছিদ্দিক ও ভাসুরপুত্র রুবেলসহ আরও ২/৩ জন মিলে ওই নারীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমজাদ, নেজাম উদ্দিন, মিজান, মোহাম্মদ হোসেন, গৃহবধূ হাসিনা বেগম ও রওশন আক্তারসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আমরা ঘটনাস্থল থেকে ছাবেকুন্নাহারকে উদ্ধার করেছি। তাকে বাড়িতে গিয়ে নিষ্টুর হামলা চালায়। দ্বিতীয় দফায় টানা হেচড়াসহ বাড়ির উঠানে নিয়ে গিয়ে শারীরিক মারধর করে। খুবই অন্যায় আচরন হয়েছে। মেয়েটি অসহায় ও দরিদ্র হওয়ায় এ ভাবে হয়েছে। অন্য কারও স্ত্রী হলে ওই ঘটনার চরম শাস্তি আসত হামলাকারীদের। বার বার বিরক্তি করছিলেন মেয়েটিকে। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানায়, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করবে।

পেকুয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেয়ায় দোকানীকে কুপিয়ে জখম

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেয়ায় দোকানীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জখমী দোকানীর নাম মোহাম্মদ ইব্রাহীম (২৪)। তিনি ওই এলাকার আমিন উল্লাহর ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানায়, ইব্রাহীম শরতঘোনায় বেড়িবাঁধের পাউবো স্লুইচ গেইট মোকামে মুদির ও চায়ের দোকানের ব্যবসা করছিলেন। সিগেরেটের দরদাম নিয়ে একই এলাকার তোফাজ্জল আহমদের ছেলে রুহুল কাদেরের সাথে গত ২ মাস আগে বাকবিতন্ডাসহ মারপিট হয়। মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান বিষয়টি মিটমাট করে। আহত ইব্রাহিম জানায়, অভিযুক্তরা দোকানে এসে বাকিতে সিগারেট চায়। বার বার বাকিতে মালামাল নিলেও টাকা পরিশোধ করেনা। কয়েকদিন আগে রুহুল কাদেরসহ কয়েকজন বাকিতে সিগারেট চায়। আমি দেয়নি। আমাকে তারা দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার দিন রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় পিছুন দিক থেকে এসে তারা আমাকে কুপিয়ে জখম করে। প্রত্যক্ষদর্শী বড় ভাই বেলাল উদ্দিন, স্ত্রী রিনা আক্তার জানায়, হামলাকারীরা দুষ্টচক্র। তারা চুরি চামারিতে ব্যস্ত। শরতঘোনা এলাকার তোফাজ্জল আহমদের ছেলে রুহুল কাদের, তার ভাই বদরুল করিম, বাদশাহার ছেলে খোকন, ইউসুফের ছেলে পারভেজ, মকছুদের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, বাদশাহর ছেলে ডায়মনসহ দুবৃর্ত্তরা ইব্রাহীমকে কুপিয়ে জখম করে। মাথায় কুপিয়েছে তারা। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানায়, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পেকুয়ায় কবরস্থান দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় কবরস্থান জবরদখল করে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। একটি চক্র শত বছরের কবরস্থানের উপরে ওই দোকান নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চরম প্রতিবাদীমুখর হয়েছেন। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী স্কুল পাড়া নামক স্থানে স্থাপনা নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বটতলী স্কুল মাঠ সংলগ্ন স্থানে দোকান নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। টইটং সীমান্তব্রীজ ও আজিজনগর সড়কের স্কুল মাঠ পয়েন্টে ওই দোকানটি নির্মিত হচ্ছে। স্কুল মাঠ এলাকা মৃত কাছিম আলীর ছেলে আবুল বশর নামক ভূমিদস্যু চক্র ওই স্থানে দোকান তৈরী করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্কুল মাঠের পশ্চিম-দক্ষিন কোনায় জামে মসজিদের নিকট সেটি নির্মিত হচ্ছে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব সীমানায় কবরস্থানের স্থিতি অংশ। কবরস্থান দখল করে দোকানটি নির্মিত হচ্ছে। আইয়ুব আলীর ছেলে মোজাম্বিক ফেরত নুরুল আবছার দাপট দেখিয়ে গায়ের জোরে কবরস্থান দখল করে তার অনুগত আবুল বশরকে দোকানটি করিয়ে দিতে সহায়তা করছে। ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আবুল শামা প্রকাশ আবু মিকার জানায়, আমরা চেয়ারম্যান মৌখিক জানিয়েছি। কবরস্থানের উপর কাজ না করতে চেয়ারম্যান বারণ করেছেন। কিন্তু তারা কিছুতেই এ সব মানতে নারাজ। জসিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে জানায়, জায়গাটি নিশ্চিত কবরস্থানের। জলিল মেম্বারের পিতা উকিল আহমদের কবরের উপর এ দোকানটি নির্মিত হচ্ছে। বটতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওসমান গণি জানায়, আমরা কাজ না করতে বলেছি। আসলে যিনি দোকান করছেন তিনিও শারীরিক অক্ষম ব্যক্তি।

 

পাঠকের মতামত: